আমাদের করণীয়
২৯ জুলাই. ২০২৪
আন্দোলনের শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত যা দেখলাম সে অনুযায়ী কিছু কথা ও করণীয়-
১. যারা রাস্তায় নামতে পারছি না তাদের করণীয় সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব না ছড়ানো। ফ্যাক্ট চেক ছাড়া কোনো খবর প্রচার না করা। কেউ কোনো গুজব রটালে তাকে চিহ্নিত করা।
২. গণহত্যার আলাপ জারি রাখা। নতুন অনেক ইস্যু আসবে। কোনো ইস্যুতে ভেসে না যাওয়া। নিজ নিজ জায়গা থেকে শহীদদের রক্তের বদলা নেয়ার আলাপ তোলা।
৩. যারা কোনো না কোনো আন্দোলনে ছিল তাদের এখন গ্রেফতার এড়িয়ে চলতে হবে। তবে প্যানিক করা যাবে না। দেশের সর্বস্তরের মানুষ আমাদের পক্ষে।
৪. এনার্জি সেভ করা। আন্দোলন যেহেতু গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে তাই স্ব স্ব স্থানে থেকে এনার্জি সেভ রাখতে হবে। সামনের পথ আরো কঠিন হতে চলেছে। সেজন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা।
৫. নিজের ডিপার্টমেন্ট বা পরিচিত সার্কেল থেকে ফান্ড কালেকশন করা। প্রচুর মানুষ আহত। আশপাশের যারা আহত তাদের সাহায্য করা।
৬. ছয় জন সমন্বয়ক ডিবি অফিসে, একজন রিমান্ডে। যারা বাইরে আছে তারাও প্রায় বিচ্ছিন্ন। সমন্বয়করা শুরু থেকে নিজেদের জীবন বাজি রেখে এই পর্যন্ত যা করেছে তা একদম অকল্পনীয়। এখন তাদের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরাই সমন্বয়ক হয়ে উঠা।
৭. স্ব স্ব স্থান থেকে ছাত্রলীগকে বর্জন করা। এই গণহত্যার পরেও যারা ছাত্রলীগের প্রতি সফট কর্নার অনুভব করে তাদেরকে বর্জন করা।
৮. আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে খবর পৌঁছানো।
৯. যারা এখনও মনে করছে আন্দোলনটা শুধু কোটা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলা, বিষয়টা বুঝানো।
১০.যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা করা। নিজে যদি গ্রেফতার হয়ে গেলে কিভাবে দ্রুত বের হওয়া যাবে সেটা আগে থেকে নিশ্চিত করে রাখা।
রাষ্ট্র এখন যেসব অপরাধে খুন ও গ্রেফতার করছে সেসব অপরাধে আমরা সবাই অপরাধী। তাই কোনভাবেই এই আন্দোলনকে এড়ানোর চেষ্টা করা যাবে না। পরবর্তি বুলেটটা হয়ত আপনার দিকেই আসছে।
0 Comments